দেশের অর্থনীতি ক্রমশ বিকাশমান। আমরা অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নের ফলে সল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে উন্নত দেশের তালিকায় যাওয়ার পরিকল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে অন্যতম সম্মুখ সহযোদ্ধা দেশের ব্যাংকিং খাত। প্রাতিষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কাঠামোর ভিত্তি শক্তিশালী করতে জনমানুষের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলোকে ব্যাংকিং খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার বিকল্প নেই। এজন্য সবার আগে সাধারণ মানুষকে ব্যাংকিং সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। দেশের নির্দিষ্টকৃত জনগোষ্ঠীর আর্থিক আর্থিক সাক্ষরতা বৃদ্ধিকল্পে সল্প ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে আর্থিকখাতে অভিভাবক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মোতাবেক এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেড জনগণের আর্তিক সাক্ষরতা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ব্যাংক ও অর্থনীতি সম্পর্কিত লেখা, ভিডিও, ইনফোগ্রাফি·, চিত্র, অ্যানিমেশনসহ বিভিন্ন কনটেন্ট ব্যাংকের ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আপলোড করা হবে এবং পরবর্তীতে একটি পুস্তিকা প্রকাশের ব্যবস্থাও করা হবে।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
এনআরবিসি ব্যাংকের এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল জনসাধারণকে ব্যাংকিং বিষয়ে সুষ্পষ্ট ধারণা প্রদান করা। পর্যায়ক্রমে তাদেরকে ব্যাংকিং সেবার আওতাভূক্ত করা। জনসাধারণকে সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিনিয়োগের মাধ্যমে তাদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা। আমাদের সুদুরপ্রসারী উদ্দেশ্য হচ্ছে শক্তিশালী ব্যাংকিং কাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির গতিকে ত্বরাণি¦ত করা।
সাধারণ জিজ্ঞাসা :
ব্যাংক :
প্রাথমিকভাবে ব্যাংক হলো এক ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা সাধারণ মানুষের সঞ্চয় এবং প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ আমানত হিসেবে সংগ্রহ করে পুঁজি গড়ে তোলে এবং সেই পুঁজি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ঋণ হিসেবে প্রদান করে। এই কর্মপ্রক্রিয়ায় ব্যাংক আমানত সরবরাহকারীকে সুদ/মুনাফা প্রদান করে এবং ঋণ গ্রহণকারীর নিকট থেকে সুদ/মুনাফা আদায় করে। কোন কোন ব্যাংক নিজেই ব্যাবসায়ে বিনিয়োগ করে মুনাফা অর্জন করে। ব্যাংক আমানত গ্রহণ ও ঋণ সেবার বাইরেও বিভিন্ন আর্থিক পরিষেবা প্রদান করে যার মধ্যে প্রধান হলো দুই পক্ষের মধ্যে লেনদেন সম্পন্ন করা। যেমন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের খেত্র ব্যাংক ক্রেতা কর্তৃক বিক্রেতাকে পণ্যের মূল্য পরিশোধ নিশ্চিত করে। এছাড়া ব্যাংক রাষ্টীয় সঞ্চয়েরও হেফাযতকারীর ভূমিকা পালন করে থাকে। আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যাংক একটি দেশের প্রধান অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি। কেননা অর্থনীতির বিকশের জন্য প্রয়োজন উৎপাদনখাতে বিনিয়োগ আর ব্যাংকের কাজ হলো এরূপ বিনিয়োগের জন্য পুঁজি সংগ্রহ ও সরবরাহ করা। তাই দেশের আর্থিক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে রাষ্ট্র কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্থাপন করে যেমন বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়েত্ব হলো বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সুষ্ঠু পরিচালনা নিশ্চিত করা।
ব্যাংকিংয়ের ইতিহাস :
অনেক পণ্ডিত মনে করেন আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার সূত্রপাত হয় মধ্যযুগীয় এবং রেনেসাঁ ইতালিতে, বিশেষকরে ফ্লোরেন্স, ভেনিস এবং জেনোভার সমৃদ্ধ শহরগুলিতে৷ ১৪ শতকের দিকে ফ্লোরেন্সে বার্দি এবং পেরুজ্জি পরিবারগুলি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আধিপত্য বিস্তার করেছিল। তারা ইউরোপের অন্যান্য অনেক জায়গায় শাখা স্থাপন করেছিল। ১৩৯৭ সালে জিওভানি মেডিসি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মেডিসি ব্যাংক ছিল ইতালির সবচেয়ে বিখ্যাত ব্যাংক। ব্যাংকা মন্টে দে প্যাসচি ডি সিয়ানা পৃথিবীর প্রাচীনতম ব্যাংক যেটি ১৪৭২ সালে ইতালির সিয়েনাতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে এখনও চালু আছে। ২০০২ সালের শেষ অবধি চালু থাকা পৃথিবীর প্রাচীনতম ব্যাংকটি ছিল ১৪৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকো ডি নাপোলি, যেটির সদর দফতর ছিল ইতালির নাপোলিতে। ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতধরে দেশের ব্যাংকিংয়ের যাত্রা শুরু। বর্তমানে দেশে ৬২টি বাণিজ্যিক ব্যাংক কার্যরত রয়েছে।
ব্যাংকগুলোর ধরণ :
পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক দেখা যায়। মালিকানার ধরণ, কাজের ধরন, পরিচালনা পদ্ধতি ও নীতিমালার উপর ভিত্তি করে পৃথিবীতে বিভিন্ন রকম ব্যাংক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা দেখা যায়। এদের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল:
- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বা সরকারি ব্যাংক
- বেরসকারি ব্যাংক
- বিদেশি ব্যাংক
- বাণিজ্যিক ব্যাংক
- তফসিলি ব্যাংক
- অ-তফসিলি ব্যাংক
- প্রথাগত ব্যাংক ব্যাংক
- ইসলামী শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংকক
- সমবায় ব্যাংক
- বিনিয়োগ ব্যাংক
- বিশেষায়িত ব্যাক
- কমিউনিটি ব্যাংক
- মার্চেন্ট ব্যাংক , ইত্যাদি
আমানত :
আমানত বলতে নগদ অর্থ বা নগদ সমতুল্য কোন মূল্যবান সম্পদকে বুঝায় যা আমানতকারী কর্তৃক কোনো প্রতিষ্ঠান সাধারণত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে গচ্ছিত রাখা হয়। সচরাচর আমানত বলতে ব্যাংক আমানতকেই বুঝানো হয়। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে আমানতকারী অর্থ জমা রাখলে সুদ/ মুনাফা পান। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমুহের তহবিলের প্রধান উৎস আমানত। আমানতকে ব্যাংকের ‘ব্লাড বা রক্ত’ বলা হয়। গ্রাহকরা সাধারণ সঞ্চয়, স্থায়ী আমানত (এফডিআর) ও সঞ্চয়ী আমানত (ডিপিএস) হিসেবে ব্যাংক অর্থ জমা রাখেন।
ঋণ :
আমানতকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থ গ্রাহকদের মাঝে ঋণ হিসেবে বিতরণ করে ব্যাংক। এই ঋণ থেকে ব্যাংক যে সুদ, কমিশন এবং চার্জ আদায় করে এটিই ব্যাংক মূল আয়ের উৎস। বিতরণকৃত ঋণ থেকে সুদ/মুনাফা হিসেবে অর্জিত আয় থেকে আমানতকারীদের সুদ/মুনাফা প্রদান, ব্যাংকের কর্মচারীদের বেতনভাতা প্রদানসহ যাবতীয় খরচ নির্বাহ করে। এই যাবতীয় খরচ মেটানোর পর যে পরিমান অবশিষ্ট থাকে সেটি ব্যাংকের মুনাফা/ লাভ। এই লাভ থেকে ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও শেয়ারহোল্ডাদের লভ্যাংশ প্রদান করা হয়।
স্প্রেড :
ব্যাংক জনগণের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহের ক্ষেত্রে যে পরিমান সুদ দিয়ে থাকে, ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে তার চেয়ে বেশি সুদ আদায় করে। আমানত ও ঋণের সুদ/মুনাফার যে ব্যবধান তাকে স্প্রেড বলা হয়। আমানতের সুদহার যদি ৬ শতাংশ হয় এবং ঋণের সুদহার যদি ৯ শতাংশ হয়, তাহলে স্প্রেড হবে ৩ শতাংশ। এই স্প্রেড থেকেই ব্যাংকের যাবতীয় ব্যয় এবং লাভ নিশ্চিত করা হয়।
শাখা :
ব্যাংকের একটি প্রধান কার্যালয় থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে লাইসেন্স পাওয়ার পর প্রধান কার্যালয় স্থাপন করা হয়। এরপর বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডগুলো সাধারণ শাখাগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন নিয়ে গ্রাম ও শহরে শাখা খোলা হয়। শাখা খোলার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতি অনুসরণ করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
উপশাখা :
কালের পরিক্রমায় মানুষের প্রয়োজনীয়তার নিরীখে বৃহৎ পরিসরের শাখাগুলোকে আয়তনে ছোট করা হয়েছে। এখানে লোকবলও শাখার তুলনায় কম। ছোট পরিসরে পূর্ণাঙ্গ ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হয় উপশাখাগুলোতে। উপশাখা সাধারণ একটি শাখার তত্ত¡াবধানে পরিচালত হয়।
এনআরবিসি ব্যাংক:
এনআরবিসি ব্যাংক সম্পূর্ণ প্রবাসী বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি ব্যাংক। ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুপ্রতিষ্ঠিত ৫৩ জন উদ্যোক্তা এই ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্দেশ্য:
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা দিয়ে তাঁদের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করা।
এনআরবিসি ব্যাংকের সেবাকেন্দ্রসমূহ:
এনআরবিসি ব্যাংক সারা দেশে প্রায় দেড় হাজারেও বেশি সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমসময় এই সেবাকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ১০৩ টি পূর্ণাঙ্গ শাখা রয়েছে। এছাড়া সল্প খরচে, কমসখ্যক কর্মী নিয়ে অথচ পূর্ণাঙ্গ শাখার ন্যায় সেবা দিতে এনআরবিসি ব্যাংকই প্রথম উপশাখাভিত্তিক ধারণার প্রচলন করে। এনআরবিসি ব্যাংকের উপশাখার সংখ্যা ৩৬৩ টি। এছাড়া সারাদেশে ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিসে ভূমি সংক্রান্ত অর্থ লেনদেন সহজ করতে ৩১৮টি বুথ স্থাপন করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। ডিজিটাল, টেকসই, নিরাপদ, সুশৃক্সখল, পরিবেশবান্ধব আধুনিক সড়ক পরিবহন নিশ্চিত করকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর সাথে কাজ করছে এনআরবিসি ব্যাংক। যানবাহন সংক্রান্ত যাবতীয় ফি আদায়ে বিআরটিএ অফিসসহ এনআরবিসি ব্যাংকের শাখাগুলোতে ২৬ টি বুথ রয়েছে। এছাড়া, প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যাংকিং সেবা দিতে ৬০০ টির মতো এজেন্ট ব্যাংকিং পয়েন্ট রয়েছে। এনআরবিসি ব্যাংক পল্লী বিদ্যুত সমিতির বিল আদায়ে ১২৫ টি বুথ স্থাপন করেছে। সারাদেশে ১ হাজার ৬১৬টি স্থান থেকে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক।
এনআরবিসি ব্যাংকের সেবাসমূহ:
প্রচলিত সব ধরণের ব্যাংকিং সেবাই এনআরবিসি ব্যাংক প্রদান করছে। সারা দেশে বিস্তৃত এনআরবিসি ব্যাংকের সেবাকেন্দ্র থেকে এই সেবাগুলো পাওয়া যাবে। এছাড়া, একজন গ্রাহক এনআরবিসি ব্যাংকের মোবাইল ফিনান্সিয়াল অ্যাপ প্লানেট ব্যবহার করে খুব সহজেই এবং দিন-রাত ২৪ ঘন্টা চেক ও কার্ড ছাড়াই কিউআরকোডের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন। এছাড়া, মোবাইল রিচার্জ, ইউলিটি বিল প্রদান,ক্রেডিট কার্ডের বিল প্রদান, নগদ, বিকাশ ও উপায়ে ইন্সট্যান্ট ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারবেন। এছাড়া, এনআরবিসি ব্যাংকের রয়েছে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা। এনআরবিসি ব্যাংকের মাধ্যমে যানবাহন সংক্রান্ত বিআরটিএ ফি জমা দিতে পরবেন গ্রাহক। এছাড়া, ভূমি রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত ফি নিয়ে থাকে এনআরবিসি ব্যাংক।
প্রবাসীদের জন্য এনআরবিসি ব্যাংক:
প্রবাসীদের অর্থায়নে গঠিত এনআরবিসি ব্যাংক এনআরবিদের (অনাবাসী বাংলাদেশি) আয় প্রেরণ সেবা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে থাকে। এছাড়া, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী অবদান রাখতে তাঁদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে কাজ করে এনআরবিসি ব্যাংক। প্রবাসীদের জন্য তাঁদের প্রেরিত অর্থ যেন সঠিক ও নিরাপদ জায়গায় বিনিয়োগ করতে করতে পারেন তার পরিবেশ তৈরি করতে এনআরবিসি ব্যাংক অঙ্গিকারবন্ধ।
নারী ক্ষমতায়নে এনআরবিসি ব্যাংক:
এনআরবিসি ব্যাংক নারীর ক্ষমতায়নে প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই কাজ করছে। নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সহজশর্তে ঋণ দিচ্ছে। এনআরবিসি ব্যাংক নারীদের জন্য নিয়ে এসেছে ঋণ সুবিধা ‘এনআরবিসি নারী’।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে এনআরবিসি ব্যাংক:
এনআরবিসি ব্যাংক প্রান্তিক জনগোষ্ঠির ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে। গ্রামীণ সাধারণ মানুষকে প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং সুবিধা দিচ্ছে। এনআরবিসি ব্যাংকের এসব সেবাকেন্দ্রগুলো থেকে উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে ¯^ল্প ও সহজশর্তে ১০ ঋণ দিচ্ছে । ইতোমধ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষিত যুবাদের বিনাজামানতে ঋণ দেয়ার লক্ষ্যে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। এক্ষেত্রে নতুন ব্যক্তি, নারী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষিত যুবাদের সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক।
মানবিক ব্যাংক এনআরবিসি ব্যাংক:
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিসহ নানাভাবে মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে এনআরবিসি ব্যাংক। দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবার স্বিকীতি সরুপ এনআরবিসি ব্যাংকে মানবিক ব্যাংক হিসেবে ভূষিত করেছে গণমাধ্যম।